১, ৫,১০০ কিংবা ৫০০, যত টাকার নোটই হোক না কেন সারাদিন মানুষের হাতে হাতেই ঘুরঘুর করে। এক হাত থেকে আরেক হাতেই যেন এর ছুটে চলা৷ ফলে টাকা খেয়ে ফেললে দেখা দিতে পারে শারীরিক সমস্যা। চলুল বিস্তারিত জানি!
কাগজের তৈরি টাকা যেই পৃষ্ঠেই লাগুক না কেন সেখান থেকেই কোনো না কোনো জীবাণু বয়ে নিয়ে আসে৷ হতে পারে সেটা কারো হাত, ওয়েটারের এপ্রোন, এটিএম মেশিন অথবা মানুষের পকেট। ২০১৭ সালে PLOS ONE জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এক ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠে৷ গবেষকেরা নিউইয়র্ক এর এক ব্যাংক থেকে একটি এক ডলারের বিল নিয়ে আসেন। এরপর পরীক্ষা করে দেখেন এর মধ্যে হাজারের বেশি জীবাণুর বসবাস। যার মধ্যে ব্রণের জন্য দায়ী জীবাণুই বেশি, এছাড়া ছিল সাধাসিধে অক্ষতিকর বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া। কিন্তু সাথে ছিল আর উদ্ভট কিছু জিনিস। যেমন: যো*নি পথের ব্যাকটেরিয়া, মুখের জীবাণু, পোষা প্রাণী এবং ভাইরাস থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ!
এছাড়া আমেরিকার আরেক গবেষণায় পাওয়া গেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ বিভিন্ন নে*শা জাতীয় বস্তু গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা হয় এই টাকা। সেখানকার ৮০% ১০ ডলারের বিলে মিলেছে কো*কেইনের উপস্থিতি। নিউইয়র্ক-প্রেসবিটেরিয়ান এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের মাইক্রোবায়োলজিস্ট সুসান হুইটিয়ার বলেছেন, "অনেক লোক তাদের হাত ঠিকমত ধোয় না, এবং তারা যখন রেস্তোরাঁয় থাকেন এবং এই অর্থ বার বার হাত বদল হয়। আপনি জানেন না কে এটি স্পর্শ করেছে।" শুধু তাই নয় একটি নোট প্রায় ১০-১৫ বছর বাজারে থাকতে পারে৷ এতে করে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায়৷ অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু ব্যাংক নোট এবং কয়েনে Escherichia coli (E. coli), সালমোনেলা এবং staphylococcus aureus এর মতো রোগজীবাণু থাকে, যা গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
তবে টাকা খেয়ে ফেললেই যে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে এমনটা নয়। কারণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই জীবাণুগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। তবে যে যে বস্তু স্পর্শ করে এসেছে এই টাকাগুলো সেটা জানার পর টাকা খাওয়া অবশ্যই কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না!
ঠেলায় পড়লেও টাকা খাবেন না।
Source:- Science Bee